জার্মানী প্রতিনিধিঃ গতকাল হামবুর্গে বাংলাদেশী কমিউনিটির ব্যানারে ব্যাপক সংখ্যক প্রবাসীর উপস্থিততে বাংলাদেশে ছাত্রজনতার আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে সক, হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং সরকারের পদত্যাগ দাবী করে সঙ্কট নিরসনে জাতীয় সরকার গঠনের আহ্বান জানানো হয় ।
এই বিক্ষোভে প্রবাসী জনগণ এবং শিক্ষার্থীরা অংশ নেয় । এই বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে ৬ দফা দাবী উপস্থাপন করা হয় । দাবিগুলো হচ্ছে :বর্তমান সরকার নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের হত্যার জন্য দায়ী, এছাড়া বাকস্বাধীনতা নাই, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা নাই, প্রবাসী বাংলাদেশীদেড় রেমিটেন্স পাঠানো টাকা দিয়ে মানুষ খুন। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে নিম্নলিখিত ছয়টি দাবী জানানো হয়েছে।
1. নিরপরাধ হত্যাকাণ্ড বন্ধ এবং সেনাবাহিনী ও ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার: – নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের হত্যাকাণ্ড অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। সেনাবাহিনী মোতায়েন এবং ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করতে হবে যাতে সাধারণ মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে জীবনযাপন করতে পারে।
2. আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার এবং প্রতিবাদকারীদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার: – নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের হত্যার জন্য সরকারের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার করতে হবে। এছাড়া প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে আনা সকল মিথ্যা মামলা ও অভিযোগ প্রত্যাহার করতে হবে।যাতে করে এইরকম অপরাদ করতে ভবিষ্যতে কেউ সাহস না পায়।
3. বাকস্বাধীনতার পুনর্লিখন: – বাংলাদেশের সংবিধানে বাকস্বাধীনতার পুনর্লিখন করতে হবে যাতে নাগরিকরা তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারে এবং শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করতে পারে।
4. গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা: – সুষ্ঠু গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে যাতে জনগণের ভোটের অধিকার ও তাদের মতামত সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয়।
5. জাতীয় ঐক্য সরকার গঠন এবং বর্তমান সরকারের পরিবর্তন: – বর্তমান সরকারের সাথে আলোচনা অর্থহীন। বর্তমান সরকার জনগণের আস্থা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে, তাই সকল শিক্ষিত ও সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সক্ষম ব্যক্তিদের নিয়ে একটি নতুন জাতীয় ঐক্য সরকার গঠন করতে হবে যা সাধারণ জনগণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হবে।
6. রেমিটেন্স পাঠানো বন্ধ (বিনিয়োগের জন্য): – যতক্ষণ না সরকার নিরপরাধ হত্যাকাণ্ড বন্ধ করে এবং জনগণের দাবী মেনে নেয়, প্রবাসী বাংলাদেশীরা বিনিয়োগের জন্য রেমিটেন্স পাঠানো বন্ধ রাখবে। তবে পরিবারের সহায়তার জন্য রেমিটেন্স পাঠানো অব্যাহত থাকবে ভিন্ন পন্থায়।
এই দাবীগুলি সরকারের দায়িত্বশীলতা প্রতিষ্ঠা করতে এবং একটি সুস্থ রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবেশ তৈরিতে সহায়ক হবে।